নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটনের হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছে সাত দেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের মিলিটারি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া, মালাউই ও বতসোয়ানাসহ সাত দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ২২ জন সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
গত বুধবার (১৪ জুন, ২০২৩) জিম্বাবুয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির (জেডএনডিইউ) আওতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের ওই মিলিটারি প্রতিনিধি দল ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শন করে। উদ্দেশ্য- ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন। এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) এসএম মাহমুদ আরাফাতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেডএনডিইউ’র ভাইস চ্যান্সেলর এয়ার ভাইস মার্শাল মাইকেল তেদজানি ময়োর নেতৃত্বে মিলিটারি প্রতিনিধিদল ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শনে আসে।
অতিথিরা ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ইউসুফ আলীসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান এবং গ্লোবাল বিজনেসের রাশেদ ইসলাম প্রমুখ।
ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের ডিসপ্লে সেন্টারে সাত দেশের মিলিটারি ডেলিগেটস
প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লিন্ডিউয়ে এনগুয়েনিয়া ও ফ্রান্সিস চাকাউইয়া, এয়ার কমোডোর সিনিকিউয়ে মাতাম্বুতজা, কর্নেল গডফ্রে সিমন মুস্তাদিয়াঙ্গা, কর্নেল এডওয়ার্ড মুমহো, সিইউনাইল তাউইয়া, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ব্রুস এমহান্ডু, মালাউই’র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ভিনসেন্ট পেটেরি ময়ো, জিম্বাবুয়ের কর্নেল বেঞ্জামিন সাবাটা, কর্নেল পাসিপানোডিয়া জেডহউ, মোজাম্বিকের কর্নেল ইসমাইল লুইস সালগাদো, তানজানিয়ার কর্নেল ক্রিস্টিনা রুয়াম্বাবিলে ইলাহুকা, নাইজেরিয়ার কর্নেল উসমান আহমদ, বতসোয়ানার কর্নেল তেবোগো জোসেফ পেলেকেকাই, জিম্বাবুয়ের গ্রুপ ক্যাপ্টেন গডইউন ভুম্বা, নাইজেরিয়ার গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মেদ সানি, জিম্বাবুয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার মার্টিন মাতাম্বো, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জর্জ চিপাঙ্গা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলিয়ান চিনেকা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এদগার মাজোনি এবং উইং কমান্ডার রোনাল্ড এনকিউব।
ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন পণ্যের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রোডাকশন প্ল্যান্ট। পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের কাটিং-এজ প্রযুক্তি ও সর্বাধুনিক মেশিনারিজ দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিলিটারি প্রতিনিধিদল।
জিম্বাবুয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর এয়ার ভাইস মার্শাল মাইকেল তেদজানি ময়ো বলেন, ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে না এলে বুঝতেই পারতাম না বাংলাদেশ কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্প ও অথনৈতিক ক্ষেত্রসহ নানা খাতে ব্যাপক উন্নতি করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করছে। বাংলাদেশের জন্য এটা নিশ্চয়ই দারুণ গর্বের ব্যাপার। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ৫টি গ্লোবাল ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি হয়ে ওঠার যে লক্ষ্যে ওয়ালটন এগিয়ে যাচ্ছে, তা বাস্তবায়নে সফল হবে ওয়ালটন।