নিউজ ডেস্ক : আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে আজ। প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ, তথা পঞ্চম বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার পঞ্চম বাজেট। একই সঙ্গে তিনি চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও অর্থবিল ২০২৩ পেশ করবেন। এর আগে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বিশেষ সভায় এগুলো অনুমোদন দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার বা মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম হচ্ছে- ‘উন্নয়নের দেড় দশক : স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’। বাজেট বক্তৃতায় মোট ১১টি অধ্যায় রয়েছে। দীর্ঘ এই বাজেট বক্তৃতায় বর্তমান সরকারের গত দেড় দশকে দেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। জিডিপির অংশ হিসেবে ঘাটতি পরিমাণ পাঁচ দশমিক ২ শতাংশ। বিশাল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ (নিট) নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) বাজেটে যা পরিমাণ ছিল এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বাড়বে ২৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে যা ২৪ শতাংশ।
সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ছয় দশমিক শূন্য তিন শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্য দিকে আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে সাত দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আসবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব খাত বহির্ভূত (নন-এনবিআর) থেকে আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে (এনটিআর) ৫০ হাজার কোটি টাকা।