আব্দুর রহিম : বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাতটি গাড়ি উপহার দিতে চায় ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাস। স্মল গ্রান্ড এইড ২০২৪ এর আওতায় ২টি এসইউভি ও ৫টি ল্যাক্সারি সেডান গাড়ি উপহার দিতে চায় দেশটি। তবে এসব গাড়ির আমদানি শুল্ক দিতে চায় না দূতাবাস। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এই সাতটি বিলাসবহুল গাড়ির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টিকে জরুরি উল্লেখ করে সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার উপ-প্রধান (মিশন সার্ভিস) তাহমিনা ইয়াসমিন এনবিআরে চিঠি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, কোরিয়ান দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উপহার হিসেবে দেওয়ার গাড়িগুলো আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর অব্যাহতি প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে, কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বিধি-বিধান অনুযায়ী যে প্রকল্পের আওতায় তারা উপহার হিসেবে গাড়ি প্রদান করে থাকে সেখানে শুল্ক-কর প্রদান করার জন্য অর্থ ব্যয়ের সুযোগ নেই। এ কারণে এসব গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করেছে কোরিয়ান দূতাবাস।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকাস্থ কোরিয়ান দূতাবাস আরও উল্লেখ করেছে যে, কোরিয়া সরকার তাদের এ প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশকেও গাড়ি উপহার দিয়েছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো শুল্ক-করমুক্ত সুবিধায় সেসব গাড়ি ছাড় করার ব্যবস্থা নিয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় উপহারের গাড়ি ছাড় করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে এসব গাড়ি আমদানির বিষয়ে কোরিয়ান দূতাবাস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, কোরিয়ান দূতাবাসের এ উদ্যোগ বাংলাদেশ ও কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে। এসব গাড়ি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সরকারপ্রধান ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রটোকল সেবা প্রদানের কাজে ব্যবহার করা হবে। ফলে রাষ্ট্রাচারের কাজে নতুন গাড়ি কেনা বা ভাড়া করা বাবদ সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় সাশ্রয় সম্ভব হবে। এছাড়া উপহার হিসেবে দেওয়া গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় দূতাবাসকে ছাড় করার অনুমতি না দিলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে উপহার দেওয়ার রীতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। সুত্র : জাগোনিউজ