আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্থনৈতিক মন্দার ছোঁয়া লেগেছে নিউজিল্যান্ডে। সুদ হার বাড়ায় ভোক্তারা ব্যাপকভাবে ব্যয় কমিয়ে দেওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। এ কারণে মন্দা দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের এই দেশটিতে। এছাড়া মন্দার পেছনে ইউক্রেনে চলা রুশ হামলা ও করোনাকে সামাগ্রিকভাবে দায়ী করেছেন অনেকে।
গত ১৫ জুন সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে তথ্যাবলি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, মন্দার কবলে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি। মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশটির জিডিপি কমেছে ০.১ শতাংশ। যা আগের ত্রৈমাসিকে সঙ্কুচিত হয়েছিল ০.৭ শতাংশ।
‘স্ট্যাটিস্টিক্স নিউজিল্যান্ড’ বা ‘এসএনজেড’ বলছে, পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দা শুরু হয়ে যায়।
নিউজিল্যান্ডের যাবতীয় অর্থনৈতিক তথ্য নির্ভর কাজ করে এই দফতর।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সুদের উচ্চহারের জেরেই এই অবস্থা দ্বীপরাষ্ট্রটির। যদিও দেশের অর্থমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন জানিয়েছেন, মন্দার কবলে যাওয়া মোটেও আশ্চর্যজনক কোনও ঘটনা নয়।
অর্থনীতিবিদদের দাবি, নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক লাগাতার সুদের হার (বেঞ্চমার্ক ইন্টারেস্ট রেট) বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মন্দা শুরু হয়েছে। উচ্চ সুদের হারের জেরে মানুষ বাড়ি, গাড়ি কেনার জন্য অর্থ ঋণ নিতে পারছেন না। অন্যান্য খরচেও লাগাম টানতে হচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব পড়ছে।
গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ১২ বার সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সুদের হার যা রয়েছে তা ২০০৮ সাল থেকে সর্বোচ্চ। যদিও ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ নিউজিল্যান্ড’ এই পরিস্থিতিতে যা ইঙ্গিত দিয়েছে তাতে আগামীদিনে সুদের হার আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেও মন্দার প্রভাব পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতিতে। তবে সেসময় পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। করোনার জেরে দেশটির রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও মন্দা কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছিল অর্থনীতি। কিন্তু চলতি বছর নতুন করে আবার মন্দার হানা দিয়েছে দেশটিতে।