নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সব ধরনের সূচকের পতন হয়েছে। কমেছে বাজার মূলধন পরিমান। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন ৩ দশমিক ৬০ গুন হয়েছে। কিন্তু লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু গেল সপ্তায় পতন হয়েছে সব ধরনের সূচকের। কমেছে বাজার মূলধন পরিমান। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন ৩ দশমিক ৬০ গুন হয়েছে।
সিএসইর সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৩ কোটি ১৯ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৫টির, দর কমেছে ১২৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৯টি কোম্পানির।
সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৬০ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই ৫০ সূচক দশমিক ৩৬ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১৩ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, সিএসআই সূচক ১ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৭০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১০২ দশমিক ২৪ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৬৩ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭১১ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের (এন ক্যাটাগরি) শেয়ার। একাই ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
এছাড়া ব্যাংক এশিয়ার ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, উত্তরা ব্যাংকের ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বাংলাদেশ পেইন্টসের ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, দি ইবনে সিনার ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, এডভেণ্ট ফার্মার (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, সিমটেক্স (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ২ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।