নিজস্ব প্রতিবেদক : গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রপ্তানি আয়। মে মাসে মোট ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
রোববার (৪ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
যদিও রপ্তানির এ আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ কম। মে মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১২ কোটি ডলার। আর ২০২২ সালের মে মাসে রপ্তানি থেকে ৩৮৩ কোটি ডলার আয় হয়েছিল।
ডলার সংকটের কারণে গত মার্চে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, একইভাবে পরের মাস এপ্রিলে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫ হাজার ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ডলারের পণ্য।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে রপ্তানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। যেখানে রপ্তানি হয়েছে ১১২ কোটি ডলারের পণ্য। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০২ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।