নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হচ্ছে। এর ফলে ডলার থেকে রুপিতে রূপান্তর বাবদ বাড়তি খরচ গুনতে হবে না।
এতে টাকা সাশ্রয় হবে। চাহিদা থাকলে চীনের মুদ্রা ইউয়ানেও এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাবে।
চলতি বছরের শুরুতে এ বিষয়ে কারিগরি কাজ শুরু হয়েছিল। এ কাজ প্রায় শেষের দিকে। সেপ্টেম্বর মাসে রুপিতে বাণিজ্য শুরু হবে।
রোববার (১৯ জুন) নতুন বছরের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনের একটি অংশ নিজ নিজ মুদ্রায় নিষ্পত্তি করতে ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে।
তিনি বলেন, এখানে আমরা দুটি কাজ কাজ করছি। প্রথমত, ভারতের সাথে আমাদের রপ্তানির চেয়ে আমদানি অনেক বেশি। এ কারণে আমাদের রুপি আধিক্য কম। তাই আমরা ভারতীয় মুদ্রাতে বাণিজ্য করার চেষ্টা করছি। যেমন, আমরা দুই বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছি। এই দুই বিলিয়ন ডলার থেকে রুপিতে কনভার্ট করতে যে খরচ আছে, সেটা আমরা সাশ্রয় করতে পারি।
গভর্নর আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য অনেক বড়। আনুষ্ঠানিক যদি ১৮ বিলিয়ন ডলার হয়। অনানুষ্ঠানিক আরও ৫০ শতাংশ। তার মানে হলো ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২৭ বিলিয়ন ডলারের। রুপিতে বাণিজ্য শুরু করলে এটা সম্প্রসারিত হবে। দ্বিতীয়টি হলো ডেবিট কার্ড। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতে যাচ্ছে। তারা ডলার কিনছে। ভারতে গিয়ে আবার ডলার কনভার্ট করে রুপি কিনছে। তারা ঘুরতে যাচ্ছে, চিকিৎসার কাজে যাচ্ছে, ধর্মীয় কাজে যাচ্ছে।
আমি আগেও বলেছি জুলাই-আগস্ট থেকে আমরা ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছি। এর নাম দিয়েছি ‘টাকা পে কার্ড’। এই ডেবিট কার্ড দেশের যেকোনো ব্যাংকে টাকাতে ইস্যু করা ম্যান্ডেটরি করছি। এটা রুপির সাথে ট্যাগ করে দিচ্ছি; যোগ করেন গর্ভনর।
তিনি বলেন, এই কার্ড যেকোনো ব্যাংক ডেবিট কার্ড হিসেবে ইস্যু করতে পারবে। বিল পেমেন্ট করা যাবে। এমনকি ভারতে গেলে ট্রাভেল কোটার ১২ হাজার ডলারও, এই কার্ড দিয়ে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে ভারতে যেতে একবার টাকা থেকে ডলার, আরেকবার ডলার থেকে রুপিতে রূপান্তরের জন্য যে বাড়তি খরচ লাগে সেটা করতে হচ্ছে না। প্রায় ৬ শতাংশ খরচ সাশ্রয় করা যাবে। ভারতে বাংলাদেশের ভ্রমণকারী সর্বোচ্চ। ডেবিট কার্ড চালু হওয়ার পর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বড় অংকের টাকা খরচ বাঁচবে।
চীনের মুদ্রা ইয়ানেও এলসি খোলা যাবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে বলেছি, চাহিদা থাকলে চীনা মুদ্রাতেও এলসি খুলতে পারবে। এর সাথে কারেন্সি সোয়াপের কোনো সম্পর্ক নেই।