নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বাজারে বিভিন্ন ধরনের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ও লোশনে মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোন পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। যে কারণে ১৮টি ক্রিম ও লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাজারে এসব ক্রিম ও লোশন বিক্রিতে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি ভোক্তাদের এসব ক্রিম কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিষিদ্ধ যেসব ক্রিম
পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম, আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড।
এছাড়া চীনের শুয়াংজো বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম ও ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের ডা. ডেভি স্কিন লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া নামবিহীন প্রতিষ্ঠানের ফোরকে প্লাস এবং জাওলি নামের দুটি ক্রিম রয়েছে নিষিদ্ধের তালিকায়।
ভোক্তা অধিদপ্তর সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, বাজার তদারকিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান/কসমেটিকসের দোকানে বিএসটিআই কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ ওইসব কসমেটিকস বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এসব ক্রিম ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সারসহ ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ভোক্তা সাধারণ।