স্পোর্টস ডেস্ক : সকালের শিশিরযুক্ত উইকেট এবং নতুন বলে অভিষিক্ত নিজাত মাসুদ হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছে দুর্বোধ্য। যার ফলে দিনের শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ৩৬২ রানের সঙ্গে আর মাত্র ২০টি রান যোগ করতে পেরেছে বাকি ৫ উইকেট। নিজাত মাসুদের তোপের মুখে ৩৮২ রানেই অলআউট হয়ে গেলো বাংলাদেশ।
অথচ, বোর্ডে অনেক বড় একটি স্কোর তোলার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশ দলের। প্রথম দিন শেষ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৭২ রানের জুটি গড়ে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে আজ এই স্কোর আফগানদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যেতো নিশ্চিত। কিন্তু একদিকে নিজাত মাসুদের আনপ্লেবল বল এবং অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতা স্কোরকে বড় হতে দিলো না।
৭২ রানের জুটি নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নতুন বলে এই দু’জন আফগান বোলারদের সঠিকভাবে সামলাতে পারলেন না। দু’জনই আউট হয়ে গেলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে।
মিরাজ আউট হলেন ৪৮ রানের মাথায়, মুশফিকুর রহিম আউট হলেন ৪৭ রান করে। এরপর দলকে একই জায়গায় রেখে আউট হয়ে যান তাইজুল ইসলামও।
প্রথম দিনের ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রান নিয়ে আজ সকালে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৭৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মিরাজ। বলা যায় উইকেটটা বিলিয়েই দিয়ে এসেছেন তিনি। ইয়ামিন আহমদজাইয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আলতো করে ক্যাচটা তুলে দেন মিরাজ। আমির হামজা হালকা পেছনে হেলে গিয়ে ক্যাচটা লুফে নেন।
প্রথম দিন মুশফিকের সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে ব্যাটিং ক্যারিশমা দেখাচ্ছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। সে সঙ্গে পৗঁছে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের ৫ম হাফ সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, জুটিটা বড় করতে পারলেন না, হাফ সেঞ্চুরিও হলো না। ৮৩ রানের জুটি গড়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি মিস করে আউট হয়ে গেলেন।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হলেন মিরাজ। নামের পাশে তখন শোভা পাচ্ছিলো ৪৮ রান। আর মাত্র ২টি রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেন তিনি।
৩ রানের জন্য ২৭তম হাফ সেঞ্চুরিটা মিস করেছেন মুশফিকুর রহিমও। সঙ্গী হারিয়ে তিনি নিজেকে একা অনূভব করেছেন কি না জানা নেই। তবে, অভিষিক্ত নিজাত মাসুদের শট বলটি হঠাৎ লাফিয়ে উঠলে মুশফিকের ব্যাটে লেগে চলে যায় থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো নাসির জামালের হাতে।
এরপর মাঠে নেমে জুটি বাধেন তাসকিন এবং তাইজুল। বোলার হলেও এ দু’জনের টেস্টে ভালো ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু নিজাত মাসুদকে লেগ সাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে আবদুল মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তাইজুল।