নিজস্ব ডেস্ক:
পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত বেসরকারি খাতের এনআরবিসি ব্যাংকের প্রথম ষান্মাসিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অন্য সূচকে অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকটির আমানতের পরিমান ১৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। আগের বছরের জুনে যা ছিল ১৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে ঋণ বিতরণ ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। সোমবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ১৬৮তম সভায় চলতি বছরের প্রথম ষান্মাসিকের (জানুয়ারি-জুন) অনুমোদিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে হাইব্রিড পদ্ধতিতে এই পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, লকিয়ত উল্যাহ, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এসরার ও ড. রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম আউলিয়াসহ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, চলতি ২০২৩ সালের জুন শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির অফ ব্যাল্যান্সশিটসহ মোট ব্যালান্সশিটের আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে যা ছিল ২৪ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে ট্রেজারারি বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। আগের বছরের জুনে যা ছিল ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগ বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এছাড়া সমন্বিতভাবে চলতি বছরের জুনে ব্যাংকটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। গতবছরের জুনে যা ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এককভাবে নিট সম্পদ মূল্য বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে যা ছিল ১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস ৫১ পয়সা এবং এককভাবে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে এনআরবিসি ব্যাংক। সারাদেশে ১ হাজার ৬১৬টি সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত ব্যাংকটি। গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থানে উপশাখা ব্যাংকিং ও ক্ষুদ্রঋণের প্রচলন এবং ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।