ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেলেন ঢাকার গৃহিণী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে আরও একটি পরিবার। পরিবারটির বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন রাজধানী মহাখালীর মৃত ক্রেতা আব্দুল সাত্তারের স্ত্রী কামরুন্নাহার।

সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওয়ালটন প্লাজার ক্রেতা আব্দুল সাত্তার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে এই সুবিধা পেলো তার পরিবার। মহাখালী ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন আব্দুল সাত্তারের স্ত্রী কামরুন্নাহার।01

উল্লেখ্য, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ক্রেতার পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।

শনিবার (৮ জুলাই, ২০২৩) আনুষ্ঠানিকভাবে মহাখালী ওয়ালটন প্লাজায় কামরুন্নাহারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামপুরা এরিয়ার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আবু নাছের প্রধান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান এবং মহাখালী ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার আল আমিন মিয়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

মৃত ক্রেতা আব্দুল সাত্তারের স্ত্রী কামরুন্নাহার জানান, মহাখালী টিভি গেইটে তাদের স্থায়ী বসবাস। তার মুদি দোকানি স্বামী মহাখালী ওয়ালটন প্লাজা থেকে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল মাত্র ৪ হাজার ৮০০ টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ওয়ালটনের এনইএক্সজিএনসিক্স মডেলের একটি স্মার্ট ফোন কিনিছিলেন। মাত্র ১টি কিস্তি পরিশোধ করেছিলেন তিনি। এরইমধ্যে গত মাসের ৮ তারিখে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার কিস্তির টাকা মওকুফসহ ৫০ হাজার টাকার সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় ওয়ালটন প্লাজা তাকে সহায়তা করায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান কামরুন্নাহার। কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর ওয়ালটন প্লাজা থেকে নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে মোট ৩৭ হাজার ৫৭২ টাকা গ্রহণ করেন তিনি। না চাইতেই ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মৃত আব্দুল সাত্তারের পরিবার।

কামরুন্নাহার বলেন, কিস্তিতে পণ্য কেনার পর আমাদের একটি সুরক্ষা কার্ড দিয়েছিল ওয়ালটন প্লাজা। সে সময় ওই কার্ডটির গুরুত্ব বুঝিনি। তবে, আজ সেটির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের বিপদের দিনেও পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ওয়ালটন। এটি ওয়ালটন প্লাজার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আসলে এভাবেই দেশের এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত আনন্দিত। পরিবারের এমন অবস্থায় এই টাকা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হলেন আলী আকবর ও আমজাদ হোসেন
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ লাখ গাছ লাগাবে বিজিএমইএ