নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের পর ঢাকার বাজারগুলোতে পণ্যের সরবরাহ কম । তাই অধিকাংশ পণ্যের দাম লাগামহীন । তেল-চিনি, আটা-ময়দা মাছ ও ডিম-দুধের দাম বেশি। এরমধ্যে আবার লাগাম ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। সেই সঙ্গে দাম আদা ও টমেটোর দামের।
সবমিলে বাজারে অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা। অনেককেই বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছে ব্যাগের তলানিতে কিছু পণ্য নিয়ে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সবকিছুর দামই বাড়তি।
তালতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, গত গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি ১৯-২০ টাকা বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পচে সবজি নষ্ট হয়েছে। সে কারণেও সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।
এদিকে ওই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৪২০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩২০ টাকা কেজি দরে। আর গেলো প্রায় দুই মাস ধরে বাড়তি আধার দাম। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৬০ কেজি দরে।
রামপুরা বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে হলো ১২০ টাকা দিয়ে। আদা-রসুন কিনতে গেছে ২০০ টাকা। আর টমেটোর দাম চাচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি।
একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরনের শাক-সবজির দামও। গোল আলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢ্যাঁড়শ, লাউশাক, পালংশাক, লালশাক, কলমি শাকসহ সবধরনের শাক-সবজির দাম বেড়েছে।
ঈদের পর মাছের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দামও। প্রতি কেজি রুই কাতলা মাছ ৩৩০-৩৬০ টাকা, পাঙাশ-তেলাপিয়া ও সিলভার কাপ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা গুলশা টাংরা জাতীয় মাছ ৫৫০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-২০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ডিমের। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসি ১২০০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২২৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ফার্মের মুরগির ডিম ৫০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন নিলে রাখা হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা।
এদিকে মুদি বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও তেল-চিনি, আটা-ময়দার দাম আগে থেকে বেড়ে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার দরে। খোলা চিনির কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। আর প্যাকেটজাত আটা ৬৮ টাকা এবং ময়দা ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদি ব্র্যান্ডভেদে আটা-ময়দার দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।