নিজস্ব প্রতিবেদক : আমদানি শুরুর খবরে সোমবার কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি নেমেছিল ২০০ টাকার ঘরে। মঙ্গলবার দাম কিছুটা বেড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় উঠে যায়। এক দিনের ব্যবধানে এবার ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম।
বুধবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, মরিচের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ আমদানিকৃত মরিচ বাজারে এলেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ কম থাকায় আমদানি দিয়ে দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সরবরাহ কম হওয়াতে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে গেছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা। আর এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকা।
খিলগাঁও এলাকার এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, এখন প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২০৫০ থেকে ২১০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি পড়ছে ৪৫০ টাকা। এর মাঝে কিছুটা বাদ যাবে, গাড়ি ভাড়া আছে। এরপর যা থাকে সেটা লাভ।
এদিকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আবদুল বাসেদ মোল্লা জানান, সরবরাহ কম হওয়ার কারণে পাইকারিতেও কাঁচা মরিচের দাম আবারও বেড়েছে। কাঁচামালের দাম সরবরাহের উপর ওঠানামা করে থাকে।
কাঁচা মরিচের দাম বেশি রাখায় ১১৮ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাদের মোট ছয় লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও মূল্য তদারকির জন্য সারাদেশে ৪৪টি বাজারে অভিযান চালায় অধিদপ্তর। সোমবার ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে এ অভিযান চালানো হয়।
বাজারে অন্যান্য সবজির দামও বাড়তির দিকে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কচুরমুখি ১২০, টমেটো ১০০ থেকে ১১০, ভারতীয় টমেটো ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, চিচিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৮০, কাকরোল ৬০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।