এনআরবি ব্যাংকের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিউজ ডেস্ক : দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলো এনআরবি ব্যাংক। শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীতে হোটেল রেডিসনে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এতে সভাপতির বক্তব্যে এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মাহাতাবুর রহমান জানান, দশ বছর আগে দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগানো, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের অংশগ্রহণ ও প্রযুক্তির সমৃদ্ধ ব্যাংকিং খাত তৈরিতে এনআরবি ব্যাংক যাত্রা শুরু করেছিল। সে প্রতিশ্রুতি এনআরবি ব্যাংক রক্ষা করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, আগামীতে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট আর্থিক খাত প্রতিষ্ঠায় যে ডিজিটালে আন্দোলন শুরু হয়েছে এ অভিযাত্রাতেও এনআরবি ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

এনআরবি ব্যাংক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ব্যাংকের কাছে গ্রাহকদের প্রধান পাওয়া থাকে তাদের আমানত যেন সুরক্ষিত থাকে। আমরা ১০ বছরে সে কাজটি খুব মমতার সাথে করতে পেরেছি। মানুষের আমানত সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পেরেছি। আগামীতেও এ কাজটি যত্নসহকারে করে যাব। দেশে যে শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছে সেখানে আমরা ভূমিকা রাখব।

প্রবাসীরা বিদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি করলেও দেশের মাটির টানে কিছু বিনিয়োগ করেছি। আমরা সঠিক কাজ কাজটি এগিয়ে নিতে পারলে দেশের প্রতি আমাদের যে দায় আছে আমরা সেটা পালন করতে পারবো, বলেন এই প্রবাসী উদ্যোক্তা মো. মাহাতাবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন মাহমুদ শাহ বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসাবে পেশাদারিত্ব ও আস্থার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। যে কারণে খেলাপিঋণ ৩ শতাংশের মধ্যে রাখতে সমর্থ হয়েছি; পুরো আর্থিক খাতের খেলাপিঋণের হার যখন ৮ শতাংশের ওপরে। আমরা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের গ্রাহক ও পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সুফি।

এই প্রবীণ উদ্যোক্তা বলেন, প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করার মধ্য দিয়ে বিদেশে থেকে অর্জিত ব্যাংকিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। দেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

ব্যতিক্রমী আয়োজনে মধ্য দিয়ে এনআরবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পালন করে। অনুষ্ঠানের আগত অতিথিরা ব্যাংকের সাথে তাদের লেনদেন, লেনদেনে ব্যাংকের সেবার ধরন ও আগামী দিনের প্রত্যাশার কথা তাৎক্ষণিক তুলে ধরেন। যা সরাসরি অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয়।

পাশাপাশি ব্যাংকটির বড় যেসব গ্রাহক লেনদেন করছেন কিন্তু অনুষ্ঠানে আসেননি তাদের রেকর্ডকৃত বক্তব্য শোনানো হয়। এতে দেশবরেণ্য উদ্যোক্তা ও উদ্যোক্তা নেতারা কথা বলেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এমসিসিআইয়ের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাস, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ, বিজিএমইএর এর সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কুতুব আহমেদ, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান এলএ খান মুকুল প্রমুখ উদ্যোক্তা।

শেষে শোকের মাস ভয়াল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড স্মরণে একটি বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান হয়। ব্যবস্থা ছিল বাংলাগানের ঐতিহ্য পুরোনো দিনের আসরও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ বছর দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে: আবহাওয়া অফিস