চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :চট্টগ্রাম নগরের উত্তর আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়া কেএম হাশেম টাওয়ার এলাকায় নালায় তলিয়ে নিখোঁজ দেড় বছরের ইয়াছিন আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) বিকেলে নালায় তলিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল। এরপর এদিন রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু খোঁজ না মেলায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে আজ (সোমবার) সকালে অভিযান শুরু হয়। একপর্যায়ে নালা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশু ইয়াছিন আরাফাত ওই এলাকার সাদ্দাম হোসেনের ছেলে। বাসার পাশেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) একটি খোলা নালায় সে তলিয়ে যায়।
এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ জুন নগরের ২ নম্বর গেট এলাকার চশমা খালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পড়ে গিয়ে দুজন নিহত হন। তারা হলেন অটোরিকশাচালক সুলতান ও যাত্রী খালেদা আক্তার। এরপর একই বছরের ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর মোড়ে নালায় তলিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন সালেহ আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী। ঘটনার পর টানা কয়েকদিন অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করতে না পারায় একপর্যায়ে তৎপরতা বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিস। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ১৯ বছর বয়সী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া নালায় তলিয়ে যান। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নিখোঁজের দিন রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে একের পর এক নালায় তলিয়ে শিশুসহ মানুষজন নিখোঁজের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনেরা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাটে ব্যস্ত। বাস্তবে কোনো উন্নয়নের হচ্ছে না। উল্টো উন্নয়নের ফাঁদে পড়ে সাধারণ লোকজন একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে।