প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের সক্ষমতা ও টেকসই অর্থায়নের মানদণ্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আবারও টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড। এ নিয়ে টানা দু’বার এই কৃতিত্ব অর্জন করলো প্রতিষ্ঠানটি। স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের কাছ থেকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত সাসটেইন্যাবিলিটি রেটিংপ্রাপ্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। এই তালিকায় সরকারী-বেসরকারি খাতের সেরা চার এনবিএফআই ও ৭ ব্যাংককে টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে; সর্বনিম্ন খেলাপি ঋণ, ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে টেকসই অর্থায়ন, সবুজ পুনঃঅর্থায়ন, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, ব্যাংকিং সেবার পরিধি ও মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সক্ষমতা রেটিংয়ের ক্ষেত্রে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সবুজ ব্যাংকিংয়ের চর্চাকেও এ মানদণ্ডে অন্যতম নির্ধারক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। টেকসই রেটিংয়ে তালিকায় আসার অন্যতম কারণ, টেকসই অর্থায়ন সূচক।
টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মোট বিনিয়োগের ২৯ শতাংশ হচ্ছে সিএমএসএমই খাতে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্স শুধু বড় বড় শহরগুলোতে নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই ঋণ বিভিন্ন মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। যেখানে শাখা নেই, সেখানেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবরেসন চুক্তির মাধ্যমে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
দেশের প্রান্তিক কৃষি উদ্যোক্তাদের ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন আওতায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্রাঞ্চ ব্যাংকিংয়ের সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং’র মাধ্যমে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের বাইরে যেয়েও প্রায় ৪০ টি জেলায় ফাইন্যান্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।