নিউজ ডেস্ক : ঢাকার আশুলিয়ায় ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে সাভারের আশুলিয়ায় টিনসেড বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুই নারীসহ ছয় জন দগ্ধ হন। তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
দগ্ধরা হলেন, সাবিনা বেগম (৪০), প্রতিবেশী মহসিন হোসেন (২৭) ও তার মা কমলা বেগম (৫০), নজরুল ইসলাম (৪৫), সাদেক (৩০) ও হাশেম (৫০)।
দগ্ধ হাশেমের ভাতিজা মো. সোলাইমান বলেন, আশুলিয়ার নতুন নগর এলাকায় রাতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে আশেপাশের লোকজনসহ আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ভর্তি করি। পরে রাত ২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডিউটিরত চিকিৎসক জানান, এই ছয় জনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। কত শতাংশ পুড়ে গেছে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যাবে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছয়তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে চার জন দগ্ধ হয়েছেন। আহত হন আরও দুই জন।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় কাশিপুর হোসাইনী নগর এলাকার মাসুদুর রহমান আসলামের ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ চার জন হলেন, হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার, শ্রমিক রানা মিয়া, তার স্ত্রী বিথি আক্তার ও তাদের এক সন্তান। এসময় আহত হয়েছেন ফল ব্যবসায়ী আবু কালাম ও জাকির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টায় পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এসময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। আবু কালাম ও জাকিরকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘরের চালায় পড়ে। আগুনে আসবাপত্র পুড়ে গেছে৷ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।