সর্বজনীন পেনশন উদ্বোধন, চার শ্রেণির জন্য থাকছে স্কিম

নিউজ ডেস্ক : সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য এতে চারটি স্কিম থাকছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিল গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
দেশের জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে তারা সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আমি আজকে এ ধরনের একটি উদ্যোগ সফল করতে পারছি।

এরপরই সার্বজনীন পেশনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য এতে চারটি স্কিম থাকছে।

এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম।

এর আগে, রোববার (১৩ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০১৩ সনের ৪ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হবে।

সূত্র জানায়, এ কর্মসূচিটি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকরাও স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে স্কিমে অংশ নেয়ার তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা দেয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন।

আর প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরা প্রযোজ্য স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে এতে অংশ নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।

কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিককে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে।

আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেয়ার তারিখ অবহিত করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ফার্স্ট ফাইন্যান্স
পরবর্তী নিবন্ধবাণিজ্য বাড়াতে আরও ১৬ বর্ডার হাট চালুর পরিকল্পনা বাংলাদেশ-ভারতের