নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৩৩ কোটি কেজির সমপরিমাণ পোশাক রপ্তানি করেছে। একই সময়ে চীনের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩১ কোটি কেজির সমপরিমাণ। তুরস্কের ছিলো ৪৭ কোটি কেজির সমপরিমাণ। ভারতের ছিলো ২১ কোটি কেজির সমপরিমাণ তৈরি পোশাক।
তবে রপ্তানি হওয়া পোশাকের পরিমাণে এগিয়ে গেলেও অর্থের হিসাবে এখনো চীনের পেছনে রয়েছে দেশ। ইউরোস্ট্যাটের মতে, ২০২২ সালে চীন ইউরোপে রপ্তানি করেছে ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের পোশাক। বিপরীতে বাংলাদেশ করেছে ২ হাজার ২৮৯ কোটি ডলার। একইসময়ে তুরস্ক রপ্তানি করেছে ১ হাজার ১৯৮ কোটি ডলার। এছাড়াও ভারত রপ্তানি করেছে ৪৮৬ কোটি ডলার পোশাক। আর ভিয়েতনাম করেছে ৪৫৭ কোটি ডলারের পোশাক।
ইউরোপের বাজারে গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ হাজার ৩১০ কোটি ডলারে তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। এতে ২০২১ সালের তুলনায় পোশাক আমদানি ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
ইইউর বাজারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম দামে পোশাক রপ্তানি করে। গত বছর বাংলাদেশের রপ্তানি হওয়া প্রতি কেজি পোশাকের গড় মূল্য ছিল ১৭ দশমিক ২৭ ডলার, যা এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল ১৫ দশমিক ৪২ ডলার।
রপ্তানির এমন সফলতার বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির- (বিজিএমইএ) সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, চীনকে পেছনে ফেলেছি এটা আমাদের জন্য গৌরবের। আমরা ভালো করতে সব সময়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি সামনে আরও ভালো করতে পারবো। এতোদিন অর্ডার কিছুটা কম ছিলো এখন ধাপে ধাপে অর্ডার বাড়ছে। ইউরোপের অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে আমাদের রপ্তানি আয় আরও বাড়বে।