এফবিসিসিআই নির্বাচনে পরিচালক হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের ২৩টি পদের মধ্যে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ১৫ জন এবং ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ৮ জন পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

এফবিসিসিআই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচিতদের মধ্যে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে হাফেজ হাজি মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ ১২৯৪টি, বি. এম. শোয়েব ১২৭৯টি, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ ১২৫৭টি, সিরাজুল ইসলাম ১২৪৬টি, মো. সহিদুল হক মোল্যা ১২১৫টি, নিজাম উদ্দিন রাজেশ ১১৯১টি, মো. মুনতাকিম আশরাফ ১১৭৫টি, রাকিবুল আলম দীপু ৯৯২টি, মোহাম্মদ আফতাব জাভেদ ৯৬৬টি, মো. ইসহাকুল হোসেন সুইট ৮৯১টি, আমির হোসেন নূরানী ৮৫২টি, সৈয়দ মো. বখতিয়ার ৮৪০টি, তপন কুমার মজুমদার ৮৩৫টি, সালমা হোসেন অ্যাশ ৮৩১টি এবং হাজি মো. আবুল হাশেম ৮১৫টি ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন।

ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নির্বাচিতদের মধ্যে কাওসার আহমেদ ১০৩০টি, খন্দকার রুহুল আমিন ৯৮৮টি, মো. আমিন হেলালী ৯১১টি, মো. নিয়াজ আলী চিশতী ৯০৯টি, আবু মোতালেব ৮৯৯টি, শমী কায়সার ৮৫২টি, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি ৮৩৭টি এবং হাফেজ হারুন পান ৮১৩টি ভোট।

নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে আগামী ২ আগস্ট ২০২৩ এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ছয়জন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে নির্বাচন চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রাথমিকভাবে মোট ১ হাজার ৯৯০ জন ভোটার থাকলেও যাচাই বাছাই শেষে ১ হাজার ৯৫৪ জন ভোটার ভোট দানের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান। সেই ভোটারদের মধ্য থেকে নির্বাচনে ভোট দেন ১ হাজার ৭৪৬ জন। এক্ষেত্রে সোমবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

ভোটগ্রহণ শেষে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানান এফবিসিসিআই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী। এ সময় নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য শামছুল আলম এবং এম এন মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এ. মতিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। কারণ ভোটারদের এনআইডি কার্ড ও স্বাক্ষর মিলিয়ে তারপর ভোট দিতে তাদের অনুমোদন করা হয়েছে। কোনো বেনামি বা জাল ভোট হয়নি। সব ভোটারই সঠিক ছিলেন। তবে সামান্য কিছু অভিযোগ ছিল, সেগুলো দ্রুতই সমাধান করা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ খুবই শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর ছিলো বলেও জানান তিনি।

খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ২৩ জন পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন পরিচালক প্রার্থী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমশা মারতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বরাদ্দ ৪৬ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধখোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ