চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম রপ্তানিতে রেকর্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০১৯ সালে ৬৫ মেট্রিক টন, ২০২০ সালে ৬৬ মেট্রিক টন, ২০২১ সালে ৬৫ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন এবং ২০২২ সালে ১৩২ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাগান থেকে বন্দরে আম নেওয়ার জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্যাকেজিং হাউজ নির্মাণ খুবই জরুরি। উদ্ভিদ সংগ নিরোধ ও কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট নিতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ তাদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি অনান্য দেশে আম রপ্তানি করছেন এ জেলার ৩১ জন বাগানি। তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৫ জন, শিবগঞ্জ উপজেলার ১৭ জন, গোমস্তাপুর উপজেলার ২ জন, নাচোল উপজেলার ৫ জন এবং ভোলাহাট উপজেলার ২ জন।

এ বছর ইতালি, ফ্রান্স ও লন্ডনে ৯০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করেছেন শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী ইসমাইল খান শামীম। এর মধ্যে ৭০ মেট্রিক টন আম লন্ডনের সুপার শপে বিক্রি হয়েছে।

শামীম খান বলেন, চলতি বছরে খিরসাপাত, ল্যাংড়া, আম্রপালি আম বিদেশে রপ্তানি করেছি। বেশিরভাগ আমই ফ্রুটব্যাগ ছাড়া। এখন পর্যন্ত ৯০ মেট্রিক টন আম বিদেশের বাজারে পাঠিয়েছি। চলতি মৌসুমে আরও ২০-৩০ মেট্রিক আম রপ্তানি করার ইচ্ছা আছে। এ আমগুলো প্রবাসী বাংলাদেশিরাই কিনে খান।

রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা দূরীকরণ ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেলে আরও বেশি আম রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ইসমাইল খান শামীম।

চাঁপাইনবাবাগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওহাব। তিনি দীর্ঘদিন দুবাইতে কাজ করতেন। দেশে ফিরে দুবাইয়ের বড় বড় সুপার শপগুলোতে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেন তিনি। ইতোমধ্যে সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করেছেন আব্দুল ওহাব। চলতি মৌসুমে আরও ১০ মেট্রিক টন আম পাঠানোর ইচ্ছা আছে তার।

আব্দুল ওহাব জানান, রপ্তানিযোগ্য আম দুবাইয়ে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরে ৩০ মেট্রিক টন আম পাঠানোর টার্গেট আছে। আগামী বছরে কাতারে আম রপ্তানি করার জন্য ইতোমধ্যে দুজন ক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।

আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং প্যাকেজিং হাউজ নির্মাণ করা হলে রপ্তানি করা আরও সহজ হবে বলে মনে করেন আব্দুল ওহাব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, বিদেশে আম রপ্তানি করতে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো করা প্রয়োজন। এ বছর আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানগুলো পরির্দশন করা হয়েছে। জেলা চাষিরা উত্তম কৃষি চর্চায় আম উৎপাদন করছে, এটা বোঝানো হয়েছে। তারা বাগানে এসে আম খেয়েছে, পরিবারের জন্য নিয়ে গেছে। তাদের মনে হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম আমদানি করা যাবে।

আম রপ্তানিকারকদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। রাজশাহীতে প্যাকেজিং হাউজ ও হিমাগার নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সে নতুন সিইও শরিফুল ইসলাম
পরবর্তী নিবন্ধশেয়ারবাজারে সূচকের পতন, লেনদেনে সামান্য উন্নতি