ডেঙ্গু কাড়লো আরও ১১ প্রাণ, হাসপাতালে ২৭৮২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭৮২ জন ডেঙ্গুরোগী। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৭ জনে। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৯ হাজার ১৩২ জন ডেঙ্গুরোগী।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই হাজার ৭৮২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৫১ এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৮৩১ জন।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা আটজন, ঢাকার বাইরের তিনজন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ৩৫ হাজার ৯১৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬২ হাজার ৪৪০ জন আর ঢাকার বাইরের ৭৩ হাজার ৪৭৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই হাজার ৭০৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৭৬২ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ১২৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৭ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ৬৮ হাজার ২১২ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট :প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধঅসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী