নিউজ ডেস্ক : সরকারি ছুটি উপলক্ষ্যে একদিন বন্ধ থাকায় বিদায়ী সপ্তাহে চার কর্মদিবস পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে দাম বাড়ার বিপরীতে দ্বিগুণের বেশি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে সূচক, লেনদেন এবং মূলধনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলোচিত সপ্তাহে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা বাজার মূলধন কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ টাকা। আর শেষ দিন ২৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ২৩ টাকা।
অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি কমেছে ১ হাজার ৬২৬ কোটি ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৯ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে কমেছে দশমিক ২১ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১১৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির দাম।
এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৯২টির, কমেছিল ৭৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৫ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৫ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১৪ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৪ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২ হাজার ১৯০ কোটি ৪৮ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে যা ৫৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে বিডিকম লিমিটেড, ফুওয়াং ফুড, জেমিনি সি ফুড, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা এবং প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ১০৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।