নিউজ ডেস্ক : বিগত সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ ও ইউরোপের বাজারে কমেছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক পোশাক আমদানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে এসেছে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ভ্যালুতে কমেছে ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে পরিমাণের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আমদানি ২৮ শতাংশ কমেছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে কমেছে ২৯ শতাংশ।
অর্থাৎ পরিমাণের দিক থেকে এই ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। একই সময়ে ইউরোপের বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। পাশাপাশি পরিমাণ অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্ব থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান দুটি বাজার- উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে দেশের মোট রফতানির প্রায় ৮০ শতাংশ যায়। এ দুটি বাজারে যে কোনো কারণে অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে তার বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে পড়ে।
তবে রফতানি ধরে রাখতে বিজিএমইএ নতুন বাজারগুলোতে রফতানি বাড়াতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ফারুক হাসান বলেন,
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক রফতানির আড়ালে ৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার!
বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পও চাপে রয়েছে উল্লেখ তিনি বলেন, এরমধ্যে চলতি বছর নূন্যতম নতুন মজুরি কার্যকর হলে পোশাক শিল্প আরও চাপের মুখে পড়বে।
এছাড়া ‘পোশাক রফতানির আড়ালে ১০ কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা পাচার’ বিষয়ে প্রচারিত সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অভিযোগ তদন্ত না করেই ঢালাওভাবে প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ। এই সংবাদে পোশাক শিল্পের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।