নিউজ ডেস্ক : ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দিল্লিতে বিশ্বের ২০ সদস্যের প্রধান অর্থনৈতিক গ্রুপের নেতাদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে স্বাগত জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপাম কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
শীর্ষ সম্মেলনে জি-২০ নেতারা ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস), খাদ্য নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খুঁজে বের করবেন।
নয়াদিল্লিতে সম্মেলনে আরও যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে এবং এই মেয়াদকালে ভারত বাংলাদেশসহ মোট নয়টি দেশকে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমন্ত্রিত দেশগুলো হলো, বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জি-২০ নেতাদের ঘোষণা গৃহীত হবে যেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা করা এবং সম্মত হওয়া অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি নেতাদের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ থাকবে।
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান ফোরাম গ্রুপ অফ টুয়েন্টি (জি-২০)। এটি প্রধান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ইস্যুতে বৈশ্বিক নির্মাণ এবং শাসন গঠন ও শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জি-২০ ১৯টি দেশ নিয়ে গঠিত (আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
জি-২০-র সদস্যরা বিশ্বের জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।