নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটাদাগে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সুরক্ষা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলোর সূচকে গত এক বছরে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। তাই গভর্নর হিসেবে ‘ডি’ (D) গ্রেড পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে ১০১টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে৷
অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সবকটি সূচকে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ পেয়েছেন A+ (এ প্লাস) গ্রেড। আর শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন A- (এ মাইনাস) গ্রেড।
প্রতিবেদনটিতে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়ন করা হয় পাঁচটি শ্রেণিতে- A (এ), B (বি), C (সি), D (ডি) ও F (এফ)। এরমধ্যে পারফরম্যান্স মূল্যায়নে কম-বেশির ভিত্তিতে এ, বি, সি ও ডি শ্রেণিকে আবার তিনটি উপশ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যেমন এ শ্রেণির গভর্নরদের A+ (এ প্লাস), A (এ) ও A- (এ মাইনাস) উপশ্রেণিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অকার্যকর ও চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হলে সেটির গভর্নরকে র্যাংকিংয়ে আনা হয়েছে F (এফ) গ্রেডে।
এতে দেখা যায়, এশিয়ায় গভর্নরদের মধ্যে সেরাদের সেরা বা ‘এ প্লাস’ গ্রেড পাওয়া দুই গভর্নর হলেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হং। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে ‘এ মাইনাস’ গ্রেড পেয়েছেন। আর নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড। মূল্যস্ফীতিসহ ভয়াবহ সংকটে থাকা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদও পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’।
১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। সাময়িকীটির বার্ষিক প্রকাশনা হিসেবে নিয়মিতভাবে প্রকাশ হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’।