নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা স্কুল ব্যাংকিং। ১১ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য এ হিসাব। এসব হিসাবে কোনো চার্জ কাটা হয় না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রেখে সঞ্চয়ের মনোভাব তৈরি করাই স্কুল ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশ্য।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমার পরিমাণ (আমানত) কমেছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) সময়ে এসব অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ কমেছে। এর কারণ হিসেবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিং আমানত জমা পড়েছে ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি-জুলাই) জমার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে জমার পরিমাণ কমেছে ২৬ কোটি টাকা। তবে একই সময়ে বেড়েছে হিসাবধারীর সংখ্যা। গত বছরের প্রথম সাত মাসে হিসাব সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ১৮ হাজার। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে হিসাব বেড়ে ৩০ লাখ ৮৯ হাজারে পৌঁছেছে।
স্কুল ব্যাংকিং পরিষেবা এখন শহর এলাকার তুলনায় গ্রামে অধিক জনপ্রিয়। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ২ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার হিসাব খোলা হয়েছে। যেখানে শহর এলাকায় খোলা হয়েছে এক কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার হিসাব। তবে হিসাবে আমানতের দিক দিয়ে গ্রামের তুলনায় এগিয়ে শহর এলাকা। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত শহর এলাকায় আমানতের ভারসাম্য এক হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা এবং গ্রাম এলাকায় ৬৪৯ কোটি টাকা।
এক বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব সক্রিয় করা যায়। এতে বাড়তি কোনো চার্জ নেই। তবে স্কুল ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি হ্রাসের জন্য দায়ী বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। ছাত্রছাত্রীদের খরচ আসে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির কারণে পরিবার থেকে সেভাবে অর্থ পাচ্ছে না। এ কারণে আমানত কমছে। শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখতে পারছে না।