নিউজ ডেস্ক : পুঁজিবাজারে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে তালিকাভুক্ত পাঁচ তারকা হোটেল সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৩৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনবে লুক্সেমবার্গভিত্তিক জেম গ্লোবাল ইল্ড এলএলসি এসসিএস। সম্প্রতি শেয়ার কেনাবেচার এ চুক্তি বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, সি পার্ল বিচ রিসোর্টের দুটি প্লেসমেন্টহোল্ডার প্রতিষ্ঠান ও একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার সম্মিলিতভাবে জেম গ্লোবালের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে সি পার্লের ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার ধারণ করছেন। যার মধ্যে প্লেসমেন্টধারী বেঙ্গল ভেকেসন ক্লাব লিমিটেড ১ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ২৯৬টি ও ভেনাস বিল্ডার্স লিমিটেড ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬১টি সি পার্লের শেয়ার ধারণ করছে। সাইফুল ইসলামের কাছে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩০৯টি শেয়ার আছে।
শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এই শেয়ার কেনাবেচার চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী, চার ধাপে আগামী এক বছরের মধ্যে জেম গ্লোবালের কাছে তারা শেয়ারগুলো বিক্রি করবে। শেয়ারগুলোর বাজার দাম হবে কম-বেশি ৩৫০ কোটি টাকা।
সি পার্ল বিচ রিসোর্টের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে শেয়ার ক্রয় চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এসব শেয়ারের লেনদেন মূল বাজারের বাইরে সম্পন্ন করা হবে। সি পার্লের সর্বোচ্চ ৯.৯০ শতাংশ শেয়ার জেম গ্লোবাল ইল্ড ধারণ করতে পারবে। প্রতিবার শেয়ার বিক্রির সময় বিএসইসির পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঘোষণা দিতে হবে।
কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা যেদিন শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেবেন, সেদিন থেকে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের ওয়েটেড এভারেজ প্রাইসের ১০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে জেম গ্লোবালের কাছে শেয়ার বিক্রি করবেন।
২০১৯ সালে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়াবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে সি পার্লের পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৬.৮৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে ২৪.৩৯ শতাংশ শেয়ার। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২৮.৭৮ শতাংশ শেয়ার।