নিউজ ডেস্ক : এক কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি। তবে দুই বাজারেই দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নাম লিখিয়েছে।
এর আগে নানা ইস্যুতে টানা দুই সপ্তাহ দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমে লেনদেনের গতি। ডিএসইতে লেনদেন কমে তিনশো কোটি টাকার ঘরে চলে আসে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা ধারাবাহিকভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। বিশেষ করে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দামে ঢালাও দরপতন হয়। এতে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে কমে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৮টির এবং ১৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিমা কোম্পানি আছে মাত্র ৫টি। বিপরীতে ৪২টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে।
এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৮৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ১৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফু-ওয়াং ফুড, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, দেশবন্ধু পলিমার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ফাইন ফুড, সোনালী আঁশ এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।