আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতাদের সংযুক্ত করবে এইচএসবিসি ও বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর আওতায় আন্তর্জাতিক বাজারগুলোর রিটেইলারদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পোশাকশিল্পে সরবরাহকারীদের সংযোগ স্থাপন করাই এ সমঝোতা স্মারকের মূল লক্ষ্য।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব উর রহমান, বিজিএমইএ এর পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক নীলা হোসনে আরা এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দেশের বৃহত্তম বাণিজ্য সংগঠন, বিজিএমইএ সক্রিয়ভাবে অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন বাজারের সুযোগ খুঁজছে। যেখানে এইচএসবিসি এর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিজিএমইএ কিছু ইভেন্টের আয়োজন করছে, যেগুলো উল্লেখিত বাজারগুলোর ক্রেতা/ব্র্যান্ড, রিটেইলার, বানিজ্য সংগঠন, সরকারি কর্মকর্তা এবং তুলা সরবরাহকারীদের একই ছাদের নিচে নিয়ে আসবে। এ ইভেন্টগুলোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করা, প্রযুক্তি এবং জ্ঞান শেয়ার করা এবং ইএসজি সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর সমাধান করা।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন ও প্রতিশ্রুতিশীল বাজার অনুসন্ধান এবং একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারের বৈচিত্র্যকরণ এবং আরও জটিল পণ্য এবং ভ্যালু-এডেড পণ্যে যাওয়া শিল্পের অন্যতম প্রধান কৌশল। আমরা এইচএসবিসি’কে ধন্যবাদ জানাই বাজার বৈচিত্র্যকরণে আমাদের উদ্যোগকে সহায়তা করার জন্য; কারণ আমরা প্রচলিত বাজারের বাইরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।

বিজিএমইএর সঙ্গে কাজ করার বিষয় নিয়ে এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন, টেকসই উৎপাদনপন্থা অনুশীলন এবং একটি প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ডের ভিত্তিতে বিশ্বে পোশাক সোর্সিংয়ে অগ্রগণ্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এইচএসবিসি তার বৈশ্বিক সংযোগ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে, রপ্তানি বৃদ্ধি করার এ প্রয়াসে বিজিএমইএ এর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত।

এ সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের অন্যতম দিক হলো এইচএসবিসি বাংলাদেশ নতুন বাজারগুলোতে ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে ব্যাংকের শক্তিশালী উপস্থিতি এবং স্বতন্ত্র অবস্থানকে পুঁজি করে বিজিএমইএয়ের সাথে যুক্ত হয়েছে। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এইচএসবিসি এবং বিজিএমইএ চলতি বছরের শুরুর দিকে অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটনের আইওটি-বেজড স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য দেখে মুগ্ধ বিশ্ব