মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা ও রাজস্ব নীতি আরও সংকোচনমূলক করার পক্ষে মত ড. আতিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির আরও সংকোচনের পক্ষে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বুধবার ( ৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে গভর্নর, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ডেপুটি গভর্নরদের সাথে এক নীতি পর্যালোচনা সভায় এই মত দেন তিনি। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে এই অর্থনীতিবিদের অবদান বিশেষভাবে স্বীকৃত।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ড. আহসান এইচ. মনসুর সহ কয়েকজন অর্থনীতিবিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সভায় ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রবৃদ্ধির চেয়ে ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতাই এই মুহূর্তে বড় বিষয়। এসময় সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ তারেকও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও ড. আতিউরের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।

ড. রহমান কৃষি ও এসএমই খাতে আরও বেশি ঋন সরবরাহের ওপর জোর দেন। বিশেষ করে ক্ষুদে উদ্যোক্তাদের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানান।

বড় উদ্যোক্তাদের ঋণ ফেরৎ দেবার অনিহার কথা তুলে ধরে ক্ষুদে উদ্যোক্তাদের দিকে বেশি করে অর্থ প্রবাহের পরামর্শ দেন ড. আতিউর। কেননা তিনি মনে করেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আর্থিক স্থিতিশীলতার পাটাতন তৈরি করে।

সাবেক এই গভর্নর বলেন, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ খানিকটা কমলেও সার্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নিত্য ব্যবহার্য পণ্য ও জ্বলানি আমদানির জন্য ডলার সহায়তা সতর্কতার সাথে দিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আগামীতে অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে আরও জোর দেবার পক্ষে বলেন যাতে করে খেলাপি ঋণের চাপ থেকে অর্থনীতিকে ভারমুক্ত করা যায়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ইতিহাসে সফলতম গভর্নর হিসেবে পরিচিতি আছে ড. আতিউরের। তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আর্থিক সূচকে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ।বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছিল পাঁচগুণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে
পরবর্তী নিবন্ধগাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে