নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে আনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান কিছু সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এজন্য স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেবে বিএসইসি।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিএসইসি ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্রিং বাংলাদেশি টেকনোলজি স্টার্টাপ টু দ্য পাবলিক মার্কেট’ শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, দেশে টেকনোলজিসহ সবধরণের স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং তাদের উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের তৈরি করতে হবে। স্টার্টআপ কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক উন্নয়ন এবং সুশাসন বিষয়েও সবাইকে অবহিত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর স্মার্ট পোর্টাল থাকতে হবে। যেখান থেকে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো সম্পর্কে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরো ভালো ধারণা পেতে সক্ষম হবে। এ বিষয়টি দেখভালের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়াও দেশে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার জন্য বিএসইসি, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের অংশীজনদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আলোচনা সভার শুরুতে ‘ব্রিং বাংলাদেশি টেকনোলজি স্টার্টাপ টু দ্য পাবলিক মার্কেট’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আরিফ খান। তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্টার্টআপ কোম্পানি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা দেন। এছাড়াও দেশে স্টার্টআপ কোম্পানির বিদ্যমান অবস্থান ও অর্থায়নের বিষয়টি নিয়ে সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিগত দশকে দেশে স্টার্টআপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠা এবং তাদের মাধ্যমে সৃষ্ট কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
সভায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দেওয়ার এবং তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর জন্য দেশে ব্যবসার সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ আলাচনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও ইনভেস্টমেন্ট ফার্মসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর অর্থায়ন এবং সেক্ষেত্রে বিদ্যমান নানা প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।