১ ডিসেম্বর থেকে রেল যাতায়াতে সময় কমবে এক ঘণ্টা

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের চলাচল সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে যাত্রাপথের সময় ৩০ থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত কমিয়ে আনা হচ্ছে। প্রধান সব রুটে ডবললাইন থাকা সত্ত্বেও পুরাতন টাইম-টেবিলের কারণে রেল চলাচলে গতি আসছিলো না। তাই দীর্ঘ চার বছর পর আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে রেলওয়ের পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলে গতি ফেরানোর নতুন সময় সূচি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতরে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা রেলের নতুন এবং পুরাতন সময় সূচির শিট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দু’একদিনের মধ্যেই নতুন সূচি চূড়ান্ত করে পাঠাতে হবে বই আকারে প্রিন্টিংয়ের জন্য। আর সেটাই পহেলা ডিসেম্বর থেকে রেল চলাচলের জন্য নতুন সময় হিসেবে কার্যকর হবে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়েছিলো ৫২ নম্বর সময় সূচি। যার মাধ্যমে এসব ট্রেনের যাত্রা এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পাশাপাশি চলতি পথের স্টেশন অতিক্রমের সময় লিপিবদ্ধ করা হয়।

এবার রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত ১০৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি প্রস্তাবিত আরও নতুন ৫ জোড়া ট্রেনের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ কিছু ট্রেন ছাড়া কিংবা গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনি কমছে যাত্রাপথের সময়ও। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের অভিজাত ট্রেন ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেসের’ ৩০ এবং ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের’ ১৫ মিনিট কমছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে কম সময়ে একটি ট্রেন যেন তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পাড়ে আমরা সেই চেষ্টাই করেছি। আশা করছি এটা জনগণের উপকারে আসবে।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি যাত্রাপথের সময় কমছে ময়মনসিংহগামী ‘বিজয় এক্সপ্রেসের’। জামালপুর পর্যন্ত রুট বাড়ানো সত্ত্বেও সময় কমছে প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের ‘চট্টলা এক্সপ্রেসের’ ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের ‘পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ৫০ মিনিট, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ৪০ মিনিট কমছে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অ্যাডিশনাল চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. জাকির হোসেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন সময় সূচি আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে রেলপথে যে কোনো দুর্ঘটনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ থাকতো। তবে ডবল লাইন কার্যকর হওয়ায় এখন থেকে বিকল্প লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, কোনো রকম দুর্ঘটনা হলে আমাদের মেইন লাইন ব্লক হয়ে যেত; সেটা আর থাকবে না। এছাড়া আমাদের সময়ও বাঁচবে।

বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রেনকে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সিগন্যালে অপেক্ষার পাশাপাশি বন্ধ স্টেশন অতিক্রমের সময় গতি কমিয়ে আনা, স্টেশনগুলোতে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হওয়ার কারণে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর গতি ফিরছিলো না। তবে নতুন এ সময়সূচি কার্যকর হলে সব ধরনের জটিলতা অনেকটা কমে আসবে বলে আশা রেলওয়ে কর্মকর্তাদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে ৩০ নভেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধ৪৫০ দিন পর কারামুক্ত হলেন খাদিজা