নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরব, মরক্কো, তিউনিশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ও বেলারুশ- এই ছয় দেশের সঙ্গে নন-ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তির ধারা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে চীন, মালয়েশিয়া ও জর্ডান- এই তিন দেশ থেকে নন-ইউরিয়া সার (টিএসপি, ডিএপি এবং এমওপি) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক সৌদি আরব, মরক্কো, তিউনিশিয়া, কানাডা, রাশিয়া এবং বেলারুশের সঙ্গে নন-ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তির ধারা অব্যাহত রাখাসহ আরও তিনটি দেশ- চীন, মালয়েশিয়া ও জর্ডান থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মাধ্যমে নন-ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি সার কেনা সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার আমদানিতে ১২৭ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ টাকা ব্যয় হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিআইসি কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে খরচ হবে ১২১ কোটি ৮ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা।
এছাড়া সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিসিআইসি কর্তৃক এ সার আমদানি করতে ১২৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা ব্যয় হবে।