ঝুঁকি এড়াতে শ্রমিক-মালিক সমঝোতা চান কূটনীতিকরা

নিউজ ডেস্ক : শ্রম অধিকার সুরক্ষা ও শ্রমিকদের ক্ষমতায়নে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিস্মারক পর্যালোচনা করা জরুরি বলছেন রপ্তানিকারকরা। ঝুঁকি এড়াতে এ নিয়ে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা দেখতে চান তারা। তবে কূটনীতিকরা বলছেন, শ্রমিকদের সাথেই সমঝোতা করতে হবে মালিকদের।

তৈরি পোশাক শিল্পে ন্যুনতম মজুরি কাঠামোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে। ঘটে ভাংচুর, সংঘর্ষের ঘটনা। হতাহত হন বেশ কয়েকজন শ্রমিক।

বাংলাদেশে শ্রমিক অসন্তোষের খবর স্থান পায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিক্রিয়া জানায়।

এমন পরিস্থিতিতে গেল ১৬ নভেম্বর শ্রম অধিকার সুরক্ষা, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও তাদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিতের লক্ষ্যে নতুন একটি নীতিস্মারকে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে বিষয়টি পরিস্কার করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়নের কাজের সহায়তায় বিশ্বজুড়েই কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো। যারা জোরপূর্বক শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাবে তাদের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র পণ্য আমদানি করবে না বলেও জানান তিনি।

অ্যান্থনী ব্লিংকেন আরও জানান, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, ভয়ভীতি দেখাবে, তাদের ওপর আর্থিক শাস্তি, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির কারণে শঙ্কায় দেশের রপ্তানিকারকরা। অনাকাঙ্খিত ঝুঁকি এড়াতে জোরালো কুটনৈতিক উদ্যোগ চান তারা।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের সভাপতি হুমায়ুন রশিদ বলেন, “এখনই কূটনৈতিক তৎপরতা দরকার। যাতে কোনো স্যাংশন না আসে। যদি রপ্তানি ব্যাহত হয় তাহলে শুধু আমাদের দেশের নয় সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।”

তবে সাবেক কুটনীতিবিদরা বলছেন, ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, “তারা ব্যবসা করছে, টাকা বাড়াচ্ছে সুতরাং এটা মালিকদের দায়িত্ব।”

গত অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয় হয় ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলারই তৈরি পোশাকে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
পরবর্তী নিবন্ধঢাকা-কক্সবাজার: নতুন ট্রেনের নাম ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’