নিউজ ডেস্ক : দেশের ৩০০ সংসদীয় নির্বাচনি এলাকায় আচরণবিধি প্রতিপালনে আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা।
প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন, প্রতি পৌরসভায় তিনজন ও সিটি করপোরেশনের প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার নির্বাচনে তিন সহস্রাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদা আছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে আচরণবিধি দেখার জন্য এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের দিনকে সামনে রেখে আরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যোগ হবে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন, ৩২৮টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশনে প্রায় ২ হাজার ৭০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দরকার পড়বে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে ন্যূনতম প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন এবং দুর্গম (পার্বত্য এলাকাসহ) ও দূরবর্তী দুই ইউনিয়নের জন্য একজন। প্রতি পৌরসভার জন্য তিনজন, তবে বড় পৌরসভায় চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশনে প্রতি ৪-৫ ওয়ার্ডের জন্য একজন, তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিতে প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক সংস্থা ইসি।
চিঠিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। এ দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন। নির্বাচনি প্রচারণার শেষ হবে ৫ জানুয়ারি সকালে।