শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনে পতন 

নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৭ নভেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়ছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মধ্যমে সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই দরপতন হলো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের ২৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তবে, প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্র।

এতে দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেয় প্রায় ৮ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতনের মাধ্যমেই দিনের লেনদেন শেষে। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার থেকে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি রয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৪টির। আর ১৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

দাম বাড়ার তুলনায় প্রায় আট গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন কমে তিন’শ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৭৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৯৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, ফু-ওয়াং সিরামিক, এমারেল্ড অয়েল, জেমিনি সি ফুড, ইয়াকিন পলিমার, প্যাসেফিক ডেনিমস এবং ফু-ওয়াং ফুড।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮২টির এবং ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্থনীতি রক্ষায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই: সিইসি
পরবর্তী নিবন্ধআহকাব আন্তর্জাতিক মেলা শুরু ৩০ নভেম্বর