নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে করপোরেট গভর্নেন্স হবে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা দক্ষতার সঙ্গে গভর্নেন্স এবং কমপ্লায়েন্স নিয়ে কাজ করছে, সেটা কিন্তু মুখ্য ভূমিকা রাখবে। আর এ বিষয়গুলো খেয়াল করে বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) মতো প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) ‘বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যানের অধ্যাপক ড. মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া, আইসএমএবির করপোরেট অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান মো. আরিফ খানসহ অন্যান্যরা।
তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোসহ আমরা সবাই কমপ্লায়েন্স ও নিয়ম-নীতি মেনে সামনের দিকে আরও ভালো করব। সবাই ভালো করলে বাংলাদেশ ভালো করবে এবং সবাই এগিয়ে যাবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে আমি ইউরোপে বাংলাদেশের ট্রেড, বিজনেস ও ইনভেস্টমেন্ট সামিট করতে গিয়েছিলাম। ফ্রোন্সের প্যারিস ও তুলুস, জার্মানির বার্লিন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট এবং বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে রোড শো অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাসেলসে আমার কি-নোট পেপারের টাইটেল ছিল ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: ম্যাজিক্যাল চেঞ্জেস বিটুইন লাস্ট ফর্টিন ইয়ার্স’। এই পেপারটা আমি যখন প্রেজেন্ট করেছি, সেখানে ইউরোপিয়ান কমিশন, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিল। উনারা প্রেজেনন্টেশনটি খুব ভালো করে দেখছিলেন। পরে তারা বললেন, তোমার প্রেজেন্টেশনের কপি আমাদের দাও। পরে তারা সেটাও নিয়ে গেল। বাংলাদেশের যে অগ্রগতি এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক যেসব পরিবর্তন হয়েছে তার অনেক কিছুই সারা পৃথিবী জানে না। তাই এখন ই তথ্যগুলো পলিটিক্যাল ডিপ্লোম্যাসি থেকে ইকোনোমিক ডিপ্লোম্যাসিতে অনেক বেশি সাহায্য করছে। পাশাপাশি কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এখন খেয়াল করেছি, পৃথিবীর যে কোনো দেশে গেলে এখন আমরা আরও অনেক বেশি সমন্বিত হই। অনেক বেশি আমাদের নিয়ে কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, এখন তারা বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন, চিন্তা, ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে বা করার বিষয়ে ভাবছে। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আপনাদের কারণে। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং এই সমন্বিত শক্তিই আমাদের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম দ্য ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমইবি) বার্ষিক আয়োজন। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মার্কেট ক্যাপিটাইলাইজেশন, কর্পোরেট সুশাসন, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতাসহ বেশকিছু মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে ১৭টি ক্যাটাগরিতে ৫৩টি কোম্পানিকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।