নিউজ ডেস্ক : দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের পৃথক ৩টি প্রস্তাবসহ ২৬ ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে আট হাজার ৮৫৩ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৬তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ২৫টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত ২৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৮৫৩ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ২৯১ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি (শিফট)-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩১২ কোটি ৫৩ লাখ ৩ হাজার ৩২৮ টাকা। যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে যৌথভাবে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেড।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান দুবাইয়ের গ্রেইনফ্লাউয়ার ডিএমসিসি এ গম সরবরাহ করবে। প্রতি মে.টন ২৯৪.৯৫ মা.ডলার হিসাবে এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ মা.ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬২ কোটি ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা।
সভায় ‘ইমপ্রুভমেন্ট আরবান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার প্রজেক্ট’র জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) ডিডিসি; (২) ডিপিএমসি,বাংলাদেশ এবং (৩) আরপিএসসি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭৪৯ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১১তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স।
তিনি বলেন, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ২য় ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে দোহওয়া, কোরিয়াসহ মোট ৫টি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত ৪৬ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৫২ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানিগঞ্জ(বসুরহাট)- দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-পিডব্লিউ-০১ এর পূর্ত কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড এবং মেসার্স সালেহ আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১১২ কোটি ৮২ লাখ ১১ হাজার ৭০১ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানিগঞ্জ(বসুরহাট)-দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-পিডব্লিউ-০২ এর পূর্ত কাজে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড; মেসার্স সালেহ আহমেদ এবং মোস্তফা জামান ট্রেডার্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১০৮ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ১৯০ টাকা।
সভায় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২৪তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির (পিপিসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬.৩৪ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৭১৩ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৮ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার (+৫%) পরিশোধিত সয়াবিন তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে গ্রিন ন্যাশনাল বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, ইন্ডিয়া (স্থানীয় এজেন্ট: এন এস কন্সট্রাকশন, ঢাকা)
দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি লিটার ১.১৬ মা.ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২.৩১ টাকা হিসাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল সংগ্রহে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ঊমাএক্সপো প্রা. ডল. ইন্ডিয়া (স্থানীয় এজেন্ট: স্পিড মার্কেটিং করপোরেশন, ঢাকা) এ মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি মে.টন ৮৭৫ মা. ডলার হিসাবে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানিতে ব্যয় হবে ৯৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের মূল্য ১০১.৬৯ টাকা।
সভায় স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৫ হাজার মে.টন মসুর ডাল ক্রয়ের আরও একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত বি অ্যান্ড সি ইনকরপোরেশন এবং সেনা কল্যাণ সংস্থা এ মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকা হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দেশটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৫ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মে.টন সারের দাম ৩৮৪.৩৩ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩০ হাজার মে.টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা।
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ থেকে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৩৭২.৮৭৫ মা. ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৩ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ৬২৫ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, মোংলা থেকে রামপাল খেয়াঘাট পর্যন্ত (প্যাকেজ-২, লট-১) ড্রেজিংয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ডক ইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি.। এতে ব্যয় হবে ৯৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, উলানিয়া থেকে মাওয়া এবং দৌলতদিয়া থেকে নাজিরগঞ্জ পর্যন্ত (প্যাকেজ-২, লট-২) ড্রেজিংয়ের পূর্ত কাজের ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ‘ডক ইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি.। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সভায় নাজিরগঞ্জ থেকে চর ভবানিপুর পর্যন্ত’ (প্যাকেজ- ২, লট-৩) ড্রেজিংয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ডক ইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি.। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ভবানিপুর থেকে পাকশী পর্যন্ত (প্যাকেজ-২, লট-৪) ড্রেজিংয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ডক ইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি.। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, আশুগঞ্জ ৫৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টালবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। স্পন্সর কোম্পানি প্রিসিশন এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের ২য় দফা (৫ বছর) চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ৬ এপ্রিল তারিখে উত্তীর্ণ হয়। মেয়াদ শেষে স্পন্সর কোম্পানি মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করে। পিইসি কর্তৃক স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত মূল চুক্তির অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত রেখে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ থেকে পাঁচ বছর বৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তা সংস্থার সঙ্গে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৬.২৫৬ টাকা হিসাবে ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বর্ধিত মেয়াদে পাঁচ বছরে স্পন্সর কোম্পানিকে ১ হাজার ২০৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সভায় ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পের রেক্টিফিকেশন ওয়ার্কস অব এক্সিস্টিং স্টিম টারবাইন বাবদ ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০১৬ সালে সিসিজিপি সভার অনুমোদনক্রমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। চুক্তি মূল্য ছিল ১ হাজার ৫৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৬ টাকা। প্রকল্পটির সিম্পল সাইকেল ইউনিট চালুর পর পুরাতন স্টিম টারবাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় কাজ বৃদ্ধি পায়। এ কারণে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১০৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৮ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাবিউবোর ৪টি বিতরণ অঞ্চলে বর্তমান সিস্টেমের সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পরামর্শক হিসেবে যৌথভাবে নিয়োগ পেয়েছে সিইএসআই, ইতালি ও এসএস সলিউশন, বাংলাদেশ। প্রকল্পের আওতায় দেশের ২১টি জেলায় ৩৯ লাখ গ্রাহককে গ্রাহকসেবা বাড়ানো হবে। এতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ২২০ টাকা।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে ক্যাসিওপিয়া ফ্যাশন লিমিটেড; জিজি ক্লিন এনার্জি ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাচারিং কো. লি. ও ক্যাসিওপিয়া অ্যাপারেল লিমিটেড। উদ্যোক্তা সংস্থার সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ‘নো ইলেক্টিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১.০৫ টাকা হিসেবে ২০ বছর মেয়াদে আনুমানিক ৩ হাজার ৫৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সভায় বাপবিবোর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন (খুলনা বিভাগ) প্রকল্পের লট-২ এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পোলগুলো সরবরাহ করবে যৌথভাবে ক্যাসেল কন্সট্রাকশন কো.লি. দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও রয়েল গ্রিন প্রোডাক্টস লিমিটেড। এজন্য ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার ৮৬২ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, টেবিলে উপস্থাপিত আরও ৩টি ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৯৯৩ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ৯৩০ টাকা।
এর আগে, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ২টি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।