নিউজ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে ১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য বাহিনীগুলোও এসময়ে মাঠে থাকবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬ পরিপত্র জারি করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
সেখানে আরও বলা হয়, নির্বাচনকালীন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও কোস্টগার্ড এবং সশস্ত্র বাহিনী ভোটের আগে-পরে ১৩ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।
২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনী রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্যরা পাঁচদিনের জন্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগের দুদিন থেকে তাদের মোতায়েন করা হবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ তিনজন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন থাকবে, আর গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও অঙ্গীভূত আনসার থাকবে ১২ জন। বিশেষ এলাকার ভোটকেন্দ্রে (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায়) অস্ত্রসহ পুলিশ ২ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন থাকবে, আর গুরুত্বপূর্ণ ভোটবকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন, গ্রাম পুলিশ থাকবে ২ জন। অন্যদিকে এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ৩ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন আর গ্রাম পুলিশ থাকবে ২ জন।
পরিপত্রে বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটগ্রহণের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন, ভোটগ্রহণের পরে একদিন এবং যাতায়াত ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য একদিনসহ মোট পাঁচদিনের জন্য
নিয়োজিত থাকবে।
গ্রাম পুলিশ-দফাদার/মহল্লাদার প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে একজন ক্ষেত্রবিশেষে দুজন করে পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত/সাধারণ আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণের জন্য একদিনসহ মোট ছয়দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপার স্থানীয়ভাবে গুরুত্ব বিবেচনায় রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুসারে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপির সদস্য সংখ্যা কম-বেশি করতে পারবেন। যতদূর সম্ভব নারী ভোটকেন্দ্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নারী অঙ্গীভূত আনসার ও পুরুষ ভোটকেন্দ্রে পুরুষ অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা হবে। আনসার ব্যাটালিয়ন সহযোগী ফোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে। বাহিনীসমূহ আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৩ দিন নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া বিজিবি/আর্মড পুলিশ/আনসার ব্যাটালিয়ন জেলা/উপজেলা/থানাসমূহে এবং কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এলাকাসমূহে দায়িত্ব পালন করবে। আনসার ব্যাটালিয়ন সেকশন ফরমেশন অনুযায়ী সহযোগী ফোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলাসহ সব বাহিনী রিটার্নিং অফিসারের কাছে রিপোর্ট করবে এবং রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।