টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান

নিউজ ডেস্ক : টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে টানা তিন কর্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো।

এর আগে গত সপ্তাহের প্রথম তিন কর্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। তবে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে সূচক কিছুটা বাড়ে। এরপরও গেলো সপ্তাহ শেষে শেয়ারবাজারে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেয় বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি বাজার মূলধনও কমে।

এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের শেষ এক ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেড়ে যায়।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির। আর ১৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

দাম বাড়ার তালিকা বড় করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বিমা খাত। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯টি বিমা কোম্পানির শেয়ারের।

বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ালেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৯ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ২০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিকিউ বলপেনের ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইয়াকিন পলিমার, ফু-ওয়াং ফুড, মুন্নু সিরামিক, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আফতাব অটোমোবাইল, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং সি পার্ল বিচ রেসোর্ট।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ৯৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনতা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধনভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার