টিসিবির জন্য কেনা হচ্ছে ৬০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল

নিউজ ডেস্ক : স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৬০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল ক্রয় করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দুটি লটে এই রাইচ ব্রাণ তেল ক্রয় করা হবে। প্রতি লিটারের দাম ১৫৭.৫০ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিকক্রয় পরিকল্পনায় ২৮,৮০,০০,০০০ লিটার ভোজ্যতেল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩,১৫,০০,০০০ লিটার ভোজ্যতেল ক্রয়ের চুক্তি হয়েছে। চুক্তির বাইরে আরও ৬০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল ক্রয় করা হবে।

সমগ্র দেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মাঝ্যে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি মাসে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে দেশীয় শিল্পের অগ্রাধিকার ও বৈদেশিক মুদ্রা তথা ডলার ব্যয় সংকুলান এবং ৩১ অক্টোবর, ৬ নভেম্বর, ১৫ নভেম্বর, ২০ নভেম্বর ও ৩০ নভেম্বর তারিখে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) এর মাধ্যমে সয়াবিন তেলের কোন দরপ্রস্তাব না পাওয়ায় ও ভোজ্যতেলের জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে রাইচ ব্রাণ তেল ক্রয় প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, টিসিবির গুদামে ধারণ ক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়। সে প্রেক্ষিতে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের উৎপাদন ও সরবরাহ সক্ষমতা বিবেচনায় ৬০ লাখ লিটার রাইচ ব্রাণ তেল একটি প্যাকেজ ২টি লটে; ১ম লট ৪৫,০০,০০০ লিটার,২য় লট ১৫,০০,০০০ লিটার ক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে গত ২০২২ সালের ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে অনুমোদনের তারিখ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, মশুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, চিনি, লবণ, আলু, খেজুর এবং রাইস ব্রাণ তেলসহ অন্যান্য ভোজ্য তেল আমদানি/স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

সূত্র জানায়, টিসিবির জন্য ৬০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল সংগ্রহের জন্য গত ১৩ ডিসেম্বর রাইস ব্রাণ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড ও এমআরটি অ্যাগ্রো প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ২ লিটার পেট বোতলে রাইস ব্রাণ তেল সরবরাহের জন্য দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়। দরপ্রস্তাবে সারা দিয়ে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ২ লিটারের পেট বোতলে ৪৫ লাখ লিটার রাইচ ব্রাণ তেল সরবরাহ করতে সম্মতি হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটার ১৫৯ টাকা হিসেবে ৪৫ লাখ লিটার রাইচ ব্রাণ তেল ক্রয়ে ব্যয় উল্লেখ করে ৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

অন্যদিকে এমআরটি অ্যাগ্রো প্রডাক্টস বিডি লিমিটেড ১৫ লাখ লিটার রাইচ ব্রাণ তেল সরবরাহ করতে সম্মতি জানায়। প্রতি লিটারের দাম ১৫৯ টাকা হিসেবে ১৫ লাখ লিটার রাইচ ব্রাণ তেলের দাম উল্লেখ করে ২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে অগ্রিম আয়কর, মূসক ও পরিবহন খরচসহ প্রতি লিটার রাইস ব্রাণ তেলের মূল্য ১৫৭.৫০ টাকা নির্ধারণ করে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দুটো তাতে সম্মতি দেয়। এর ফলে ১ম লটে মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫,০০,০০০ লিটার রাইস ব্রাণ তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৭০ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে এমআরটি অ্যাগ্রো প্রডাক্টস বিডি লিমিটেড ১৫ লাখ লিটার সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৬০ লাখ লিটার রাইচ ব্রাণ তেল ক্রয় মোট ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথার্টিফাস্ট উদযাপনে এবারও আয়োজন থাকছে না কক্সবাজারে
পরবর্তী নিবন্ধখাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ে করবে সরকার