দেশে বাড়ছে গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা, যোগ হলো আরও ২

নিউজচ ডেস্ক : দিন যতই যাচ্ছে দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা ততই বাড়ছে। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে আরও দুটি কোম্পানি। নতুন যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারাখনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৪টি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন দুটি কোম্পানিই গাজীপুর অবস্থিত। এরমধ্যে গাজীপুর পূবাইলের ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড। কোম্পানিটি ৯৯ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। কোম্পানিটি বিশ্বের প্রথম ১০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৪ নম্বরে অবস্থান করছে। এছাড়া গাজীপুর শ্রীপুরের এস এম এক্সেসরিজ পেয়েছে সবুজ কারখানার সনদ। কোম্পানিটি গোল্ড সনদ অর্জন করেছে।

বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। তারা এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন-‘এলইইডি’ বা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তৈরি পোশাক খাতের বিদেশি ক্রেতারা কোনো কারখানা থেকে পোশাকপণ্য কেনার সময় এলইইডির গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেটকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকে।

বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, বাংলাদেশে সুবজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা ২০৪টি। এর মধ্যে প্ল্যাটিনাম ক্যাটাগরিতে সনদ রয়েছে ৭৪টি। এছাড়া গোল্ড ক্যাটাগরিতে ১১৬টি, সিলভারে ১০টি। আর সার্টিফাইড চারটি। তাছাড়া এখনো গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে অনেক কারখানা। মোট ১১০ এর মধ্যে যেসব কোম্পানি ৮০ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পায় তারা প্লাটিনাম সনদ লাভ করে। কোনো কারখানা ৬০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে গোল্ড সনদ পায়, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে পায় সিলভার সনদ আর ৪০ থেকে ৪৯ পেলে পায় সার্টিফায়েড সনদ।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, গ্রিন ফ্যাক্টরিতে আমাদের দেশ এখনো শীর্ষে রয়েছে। নতুন সনদ পাওয়া দুটিসহ এ বছর গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ২৩টি কোম্পানি। সব মিলিয়ে দেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা ২০৪টি। নতুন প্লাটিনাম সনদ পাওয়া ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড বিশ্বের প্রথম ১০টি কারখানার মধ্যে ৪ নম্বরে অবস্থান করছে।

তিনি জানান, আমাদের পোশাক কারখানাগুলো সবুজ বিপ্লায়নে ক্রমাগতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্ডার কমে যাওয়া ও বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সবুজ কারখানায় বিনিয়োগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছি আমরা। এতে বহি:বিশ্বে আমাদের ব্র্যান্ডিংয়ে সহায়তা করছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি করতে স্বল্প সময়ে বিনিয়োগ বেশি লাগলেও দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়া যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি আজ
পরবর্তী নিবন্ধ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা