নিউজ ডেস্ক : টানা দুই কার্যদিবস দাম বাড়ার পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দামে ঢালাও পতন হয়েছে। যদিও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখায় বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। ফলে সূচকেও ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তার আগে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসেও সূচক বাড়ে। ফলে টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমে যায়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপরও। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই বিমা বাদে অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আবার দাম বাড়ার ধারায় ফিরে আসে। ফলে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু বেশিরভাগ বিমা কোম্পানি পতনের মধ্যে থাকায় দাম বাড়ার তালিকায় বড় হয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির। আর ১৭০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় বিমা খাতের মাত্র ৭টি কোম্পানি নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩টির।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস সূচকটি বাড়লো।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৫৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এসকে ট্রিমস, এমারেল্ড অয়েল, মুন্নু সিরামিক, ওরিয়ন ইনফিউশন, আফতাব অটোমোবাইল, ইয়াকিন পলিমার এবং জিকিউ বলপেন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৯টির এবং ৯২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।