২ দিন পর বেড়েছে সূচক, কমেছে লেনদেন

নিউজ ডেস্ক : টানা দুই কার্যদিবস কমার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার আগেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। এতে সূচকও নিচের দিকে নেমে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট কমে যায়।

এরপর বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। ফলে সূচকের পতন প্রবণতা কিছুটা হলেও আটকে যায় এবং দিনের লেনদেন শেষে সবকয়টি মূল্যসূচকই বাড়ে। অবশ্য মূল্যসূচক বাড়লেও দাম বাড়ার থেকে প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় রয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টির। এছাড়া ১৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমে পাঁচশ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৮৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অলিম্পিক এক্সেসরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্যাসিফিক ডেনিমসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইয়াকিন পলিমার, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং ফু-ওয়াং সিরামিক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৩টির এবং ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধডিসেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হচ্ছে ১.৩১ বিলিয়ন ডলার