টানা ৭ কার্যদিবস বাড়লো সূচক

নিউজ ডেস্ক : বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস সূচক বাড়লো।

এর আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক টানা কমে। তবে সপ্তাহের শেষদিন সূচক বাড়ে। আর চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই সূচক বেড়েছে। এতে পতন থেকে বেরিয়ে মূল্যসূচকে টানা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে।

বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের ৪০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে এরপরেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যাওয়ায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশ্য তারপরও দরপতনের তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে বিপরীতে দাম কমেছে ৯২টির। আর ১৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস সূচকটি বাড়লো।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ২০ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫২৮ কোটি ৯৫ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৭০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ২১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এসকে ট্রিমস, ইয়াকিন পলিমার, আজিজ পাইপ, ফু-ওয়াং ফুড, বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, আফতাট অটোমোবাইল এবং এমারেল্ড অয়েল।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টির এবং ১০০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে রাশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধসোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে সেবায় যুক্ত হলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক