নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়কটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
ডিএসইর মতো মূল্যসূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। তবে এ বাজারটিতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। আর কমেছে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে এসে কিছু বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে একদিকে দাম বাড়ার তালিকা ছোট হয়, অন্যদিকে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে প্রধান মূল্যসূচক। তবে কয়েকটি কোম্পানি দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানোর কারণে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে ৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৭টির। আর ১৭৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে। এমনকি লেনদেনের বেশিরভাগ সময় এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৩ কোটি ৭ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬০ কোটি ৭১ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অলিম্পিক এক্সসরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ১৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, প্যাসেফিক ডেনিমস, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং ইভিন্স টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং ৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।