সবজি-ব্রয়লারের বাজার স্থিতিশীল, কমেছে মাছ-ডিমের দাম

নিউজ ডেস্ক : বাজারে গরুর মাংসসহ কমেছে মুরগি মাছ ডিমের দাম।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছ কেজি প্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। গরুর মাংসের দাম কমে যাওয়ায় এর প্রভাব মাছের বাজারে পড়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজারে মোটা চালের দাম আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সবধরনের চালের দর কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছিল, এখনও সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এ সপ্তাহে সব ধরনের সবজি আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ছে বিধায় আগামী সপ্তাহে শীতকালীন সবজির দাম কমে আসতে পারে বলে আশা করছেন তারা।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৫০, বরবটি ৮০, ধুন্দুল ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, শসা ৬০ থেকে ৭০, পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে এবং ধনে পাতা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা এবং জালি কুমড়া ৪০ টাকা। এদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০, দেশি পেঁয়াজ ১৩০, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ এবং কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায়।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০, কচুরমুখী ৭০ এবং গাজর ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০, মূলা শাক ১০, পালং শাক ১৫, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।

গরু মাংসের দাম কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। এসব বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ (চাষের) আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, দেশি কই ১০০০, মেনি মাছ ৭ হাজার ৬০০, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫ মাসে রিজার্ভ কমেছে ৬.১৮ বিলিয়ন ডলার
পরবর্তী নিবন্ধএবি ব্যাংকের এন্টি মানি লন্ডারিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ