মিশরকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কঙ্গো

স্পোর্টস ডেস্ক : আফ্রিকান নেশনস কাপে ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙলো কঙ্গো ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক। গত ৫০ বছরের জয়হীন থাকার পর অবশেষে নেশনস কাপের চলতি আসরে মিশরকে প্রথমবারের মতো হারালো তারা। টাইব্রেকারে মিশরীয়দের ৭-৮ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে কঙ্গো।

১-১ গোলে ম্যাচ সমতায় থাকার পর খেলার ফলাফল বের করে আনতে অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিট খেলা হয়। এতেও কোনো চূড়ান্ত ফলাফল না আসায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে অবশেষে শেষ হাসিটা হেসেছে কঙ্গো।

সর্বশেষ মিশরের গোলরক্ষক মোহাম্মাদ আবু গাবালের মিস করা শটেই ম্যাচ জিতে যায় কঙ্গো। গাবালের শটটি ছিল ম্যাচের শেষ ও অষ্টম শট। এর আগের ৭ শটের ৭টিতেই গোল করেছে দুই দল। তবে নিজেদের শেষ শটে গোল করতে ভুল করেনি কঙ্গোর লিওনেল এমপাসি। তার গোল করার সঙ্গে সঙ্গে সতীর্থরা ভোঁ দৌড় দেয় এমপাসেরর পিছু পিছু। ইতিগড়া জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের ওঠার আনন্দে কঙ্গোর খেলোয়াড়রা ছড়িয়ে দেন গ্যালারিতেও।

রোববার সান পেদ্রোর লরেট পোকো স্টেডিয়ামে আফ্রিকান নেশনস কাপের সাতবারের শিরোপাজয়ী দল মিশরের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম গোল করে কঙ্গো। তাদের ৩৭ মিনিটে করা গোলটি মিশর শোধ করে ম্যাচের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গোল পায়নি কোনো দল।

এদিন মিশরের হয়ে গোল করেন মোস্তফা মোহাম্মদ। যদিও গোল এসেছে পেনাল্টি থেকেই। অপরদিকে কঙ্গোর হয়ে গোলটি করেছিলেন ম্যাসেক ইলিয়া। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৭ মিনিটে মোহাম্মদ হ্যামডি লালকার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মিশর। তখন থেকেই আরো দুর্বল হয়ে পড়ে তারা।


এদিকে দলে ছিলেন না মিশরের তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ। হ্যামস্ট্রিংয়ে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। যে কারণে মিশরের আক্রমণভাগ ছিল তুলনামূলক দুর্বল। অবশেষে কঙ্গোর কাছে হেরে আসর থেকেই ছিটকে গেলো সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না: স্বতন্ত্র এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবায়ুদূষণে ঢাকা আজ শীর্ষে