নিউজ ডেস্ক : দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে। বোরো মৌসুমে কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বোরো মৌসুমে সারের কোনো রকম সংকট হবে না। চলমান বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৮৬ হাজার টন। এর বিপরীতে বর্তমান মজুত ও সম্ভাব্য পাইপলাইন মিলিয়ে মোট মজুত হবে ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন। একইভাবে টিএসপির ২ লাখ ৪১ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৩ লাখ ৮৮ হাজার টন। ডিএপির ৩ লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টন। এছাড়া এমওপির ২ লাখ ২৩ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৫ লাখ ২৭ হাজার টন।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটি আমরা দেখবো। চালের দাম বাড়লে তাতে মানুষের ওপর চাপ পড়ে। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যেখানে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, সেটি করা হবে। আমরা চেষ্টা করবো যাতে দাম বেড়ে না যায়। কৃষকরাও যাতে দাম পায়, আবার মজুতদারিও যাতে না হয়।’
মজুতদারি এবং সিন্ডিকেট যাতে না হয়, সেদিকে সরকারের কঠোর নজর রয়েছে বলেও জানান আব্দুস শহীদ।
এবার ৫০ টন আম নিতে চায় রাশিয়া
বাংলাদেশের আম সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন হওয়ায় এবছর বেশি পরিমাণ আম নেবে রাশিয়া। ৫০ টন আম নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেশটির। ফুলকপি, পেঁপে নিতেও আগ্রহী দেশটি। এছাড়া, বাংলাদেশে সার রপ্তানি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু, আগামীতেও থাকবে। রাশিয়ায় আমরা আম, ফুলকপি, পেঁপে প্রভৃতি রপ্তানি করবো। কৃষিপণ্যের গুণগতমানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, আমরা তা অবশ্যই পরীক্ষা করবো। পরীক্ষা করে সেগুলো রপ্তানি করবো।’